মানুষের উপকার করতে কোনো পদ লাগে না - দাদার অনুগামীদের পোষ্টার ঘিরে কৌতুহল

28th November 2020 11:02 am হুগলী
মানুষের উপকার করতে কোনো পদ লাগে না - দাদার অনুগামীদের পোষ্টার ঘিরে কৌতুহল


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : গতকালকেই মন্ত্রীত্ব ছেড়েছেন তিনি । বিধায়ক পদে অবশ‍্য রয়েছেন । একাধিক দায়িত্বে থাকা পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন । এরপর কী পদক্ষেপ হতে পারে তার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন সকলে । যাকে নিয়ে এত কৌতুহল সেই শুভেন্দু অধিকারী কিন্তু সামনাসামনি এখনো মুখ খোলেননি । নিজেকে বেশ কিছুটা আড়ালেই রেখেছেন । কিন্তু তাঁর অনুগামীরা বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ‍্যে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন " আমরা দাদার অনুগামী " হিসাবে । এবার হুগলীর কানাইপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েত এলাকায় পড়লো দাদার অনুগামীদের ব‍্যানার । কোন্নগর , কানাইপুর সংলগ্ন এলাকায় যাকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু কৌতুহল । কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক সরাসরি দল ছাড়ার কথা ঘোষনা করে পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়েছেন । শুভেন্দু অধিকারী অবশ‍্য পদ ছেড়েছেন কিন্তু দল ছাড়েননি । রাজ‍্য রাজনীতিতে তুমুল চর্চা এখন শুভেন্দুকে ঘিরে । কানাইপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েত এলাকায় শুভেন্দু অধিকারীর ছবি সম্বলিত ব‍্যানার লাগানো হয়েছে একাধিক জায়গায় । আমরা দাদার অনুগামী হুগলী জেলার পক্ষ থেকে প্রচার শুরু হয়েছে । " মানুষের উপকার করতে কোনো পদ লাগে না " - জননেতা শুভেন্দু অধিকারী নামাঙ্কিত ব‍্যানার দেখে জল্পনার পারদ চড়ছে । কানাইপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রধান আচ্ছালাল যাদব জানিয়েছেন , উনি আমাদের দলের সাথেই এখনো আছেন । আমরা সকলে চাই উনি সাথে থাকুন । উনি একজন জননেতা । স্বাভাবিক ভাবেই তার তো অনুগামী কিছু থাকবেই । আবেগবশত কেউ বা কারা হয়তো লাগিয়েছে । উনি যদি দল থেকে বেড়িয়ে যান এটা দলের বড় ক্ষতি হবে বলে জানিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান । শুভেন্দু অধিকারীর ব‍্যানার ঘিরে তুমুল চর্চা এখন চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সর্বত্র । 





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।